চোরে মানে না ধর্মের দোহাই,
চেনেনা আপন পর।।চরিত্রহীন বোজেনা কালোসাদা, খোজেঁ পাতাবন আর চর।।
মো:হাফিজুল ইসলাম শান্ত:
ঘটনাটি ঘটে পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলায় চরকাজল ইউনিয়নের চর কপালভেড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব কপালভেড়া আশ্রয় কেন্দ্রে।আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা দরিদ্র পরিবারের ভিকটিম (১৫) কে প্রতিবেশী মোশারফের ছেলে আঃ রহিম হাত পা বেঁধে পাতাবনে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধষর্ণ করে।
মামলা সুত্রে, গত (২১-নভেম্বর-২২ ইং) তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টা হইতে ভোর ৫ টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন রোজিনা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় ১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১/২২,ধারা-নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী)২০০৩ এর ৯(১)রুজু হয়।
এ বিষয়ে,মামলার বাদী রোজনা বলেন, বিচারের জন্য থানায় মামলা করার পর থেকেই আসামি রহিমের পিতা মোশারফ সহ তার নিটকতম স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে এমনকি সন্ধ্যার পরে ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এছাড়াও এলাকার কথিত কুচক্রী মহলকে অর্থ প্রদান করে আমাদের এলাকা থেকে ছাড়া করার পায়তারা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে আমাদের ঘরে আগুন দিয়ে সপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এর বিচার চাই বলে জানান।
সরেজমিন অনুসন্ধানে ভিকটিম (১৫), প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে সন্ধ্যার পরে জোর করে ধরে নিয়ে হাত পা বেঁধে রাতভর ধর্ষন করে আব্দুর রহিম। কষ্ট সয্য করতে না পেরে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পরি। জ্ঞান ফেরার পর দেখি ঘটনাস্থল পাতাবনেই রয়েছি আশেপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বুজলাম ধর্ষক রহিম আমাকে ফেলে রেখে চলেগেছে।আমি সমাজের ভয় লজ্জায় পার্শ্ববর্তী স্থান মুজিবনগরে পালিয়ে যাই। সেখান থেকে এলাকার লোকজন আমার কথা জানেন ও শোনেন পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় সেখান থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলে ধর্ষক রহিমকে তার পরিবার আত্নগোপন করে ফেলে। পরে (১২/১২/২২ ইং) তারিখ ধর্ষক রহিমকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে ভিকটিম পরিবার দরিদ্র অসহায় বলে একটি কুচক্রী মহল মামলাকে সুবিচার থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
অনুসন্ধানে সত্যতা যাচাই করতে চরকপালবেড়া ও ঘটনাস্থলে একাধিক লোকজনের বক্তব্যে জানাগেছে ভুক্তভোগী পরিবার খুবই অসহায় ধর্ষক যাতে রেহাই পেতে না পারে এজন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দুলাল খাঁন, ব্যবসায়ী হাতেম মাতবর, লিকো তালুকদার সহ এলাকাবাসী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও গুরত্বর অপরাধ। ভিটকিমের পরিবারের কাছে সংবাদ পেয়ে ঘটনার রাতে এলাকাবাসী মিলে ভিকটিমকে ও আব্দুর রহিম কে খুজে পাইনি। পরের দিন সকালে মুজিবনগর এলাকায় ভিকটিমের সন্ধ্যান পেয়ে তার কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক এই দাবি জানান।
তবে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার তাসলিমা বেগম এব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে এরিয়ে যেতে চাইলে, তার কোন দায়িত্ব রয়েছে কিনা জানতে চাইলে দায় সারা বক্তব্য দিয়ে এরিয়ে যান।
এবিষয় আসামী রহিমের বাবা মোশারেফ বলেন
আমার ছেলেকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। প্রতিবেদককে বলেন ঘটনার রাতে তার ছেলে অন্য বাড়িতে ছিলেন তবে তার কোন নির্দিষ্ট প্রমান দেখাতে পারেনি। এছাড়া মোশারফ খাঁন বলেন ঘটনার পরের দিন কিছু লোক এসে আমার কাছে টাকা চায় সমাধান করে দিবে বলে আমি রাজি হইনি বলে জানান।
এবিষয় চরশিবা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (এস আই) মোক্তার হোসেন বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে আলামত সহ মেডিকেল রিপোর্ট এর জন্য পাঠাই এবং ভিকটিমের চিকিৎসা নিশ্চিত করি। আসামি পলাতক ছিলো তাকে দ্রুত আটক করে জেল হজতে প্রেরন করেছি। এছাড়াও আসামীর ডি এন এ পরিক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি সমস্ত আলামত ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বাদীকে হুমকি ধামকি দেয়ার কথা জানালে বলেন, এরকম অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।